সেবা ও পেশা হিসেবে নার্সিং
নার্স মানে এক নিবেদিত প্রাণ। নার্স মানে একটি সেবাদানকারী সত্ত্বা। একজন নার্স মানে একটি অন্ধকার ঘরে আলোর ঝিলিক। একজন নার্স একটি দেশের জন্য কতটা জরুরী সেটা এখন আর কাউকে হাতে ধরে কিংবা খাতা-কলমে বুঝিয়ে দিতে হয়না বরং একটু সচেতন দৃষ্টিই বুঝিয়ে দিতে সক্ষম যে, একজন নার্স একটা দেশের জন্য কতোটা জরুরী। আমরা সবাই প্রায় সময় একটা কথা বলে থাকি যে,, একজন রোগী প্রায় ৫০% ভালো হয়ে যায় একমাত্র তার সাথে ভালো ব্যবহারের ফলে। সেক্ষেত্রে নার্সিং-ই হচ্ছে উত্তম পন্থা। একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই একজন নার্স তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখেন, এবং নার্সরাই সবচেয়ে বেশি রোগীর কাছে থাকেন এবং সর্বদা তাদের মেন্টাল সাপোর্ট দিয়ে থাকেন। যার ফলে দেখা যায় একটা রোগী প্রায়ই ভালো হয়ে উঠেন। ডাক্তার এবং নার্স দুজনই দরজার দুটি পার্টের ন্যায়। এদের যেকোনো একজনকে ছাড়া কখনোই একটি কার্যকরী হাসপাতাল চিন্তা করা যায়না।
সরকারি নার্সিং কলেজে পড়ার সুবিধাসমূহ
১। জব এন্ট্রিতেই 2nd Class Officer (১০ম গ্রেড, বেতন স্কেল ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা)
হিসেবে সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের সুযোগ।
২। অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০০০/২৫০০ টাকা মাসিক বৃত্তি/স্টাইপেন্ড পাওয়ার সুযোগ ।
৩। রয়েছে বিএসসি, এমএসসি, পিএইচডি এবং বিসিএস দেয়ার সুযোগ ।
৪। বিদেশে কাজের পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষেত্রে স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডাক্তার প্রতি তিনজন নার্স থাকার কথা থাকলেও এখানে রয়েছে দুইজন ডাক্তারের পরিবর্তে মাত্র একজন নার্স ।
বিএসসি ইন নার্সিং কি?
এটি নার্সিং-এর গ্রাজুয়েশন কোর্স।
ভর্তি যোগ্যতা: ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন নার্সিং-এর জন্য ভর্তি যোগ্যতা বিজ্ঞান বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসিতে মোট জিপিএ ৭.০০। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০-এর কম গ্রহণযোগ্য না এবং উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০থাকতে হবে।
স্বীকৃতিঃ একাডেমিক কোর্স ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে বিএনএমসি'র সনদ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা 'নার্স ও মিডওয়াইফ প্র্যাকটিশনার্স নামে রেজিট্রেশন পান। ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন নার্সিং অত্যন্ত আকর্ষণীয় কোর্স। এ কোর্স শেষে দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সরকারি চাকুরিতে এন্ট্রি পোস্ট ‘সিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড)। এছাড়া কোর্স শেষে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। নার্সিং কলেজে লেকচারার, ইনস্টিটিউটে প্রিন্সিপাল
বা নার্সিং অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিএনএমসি'র সনদ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নার্স ও মিডওয়াইফ প্র্যাকটিশনার্স নামে রেজিট্রেশন পান। এক্ষেত্রে সরকারি চাকুরিতে এন্ট্রি পোস্ট 'সিনিয়র স্টাফ নার্স' (১০ম গ্রেড)। বিপিএসসি নন-ক্যাডার পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর
এ নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়া পদোন্নতির মাধ্যমে নার্সিং ইনস্টিটিউটে প্রিন্সিপাল, নার্সিং অধিদপ্তরে সহকারি পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। । ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কি?
এটি বিএনএমসি'র অধীনে কেবল মিডয়াইফারি বিষয়ে ৩ বছর মেয়াদী একটি ডিপ্লোমা কোর্স। এখানে কেবল মেয়েদের ভর্তি নেওয়া হয়।
ভর্তি যোগ্যতা: এসএসসি ও এইচএসসিতে একত্রে জিপিএ-৬.০০। তবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে না।
স্বীকৃতি: একাডেমিক কোর্স ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে বিএনএমসি'র সনদ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নার্স ও মিডওয়াইফ প্র্যাকটিশনার্স' নামে রেজিট্রেশন পান। । কেন নার্সিং কোর্সে ভর্তি হবেন?
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কি? প্রচলিত ভাষায় এটিই ডিপ্লোমা নার্সিং ।
এটি বিএনএসসি'র অধীনে ৩ বছর মেয়াদী নার্সিং-এর একটি ডিপ্লোমা কোর্স। কোর্স শেষে ৬ মাস ইন্টার্নশিপ করতে হয়।
ভর্তি যোগ্যতা: এসএসসি ও এইচএসসিতে একত্রে জিপিএ ৬.০০। তবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ- ২.৫০ এর
কম গ্রহণযোগ্য হবে না ।
স্বীকৃতি: একাডেমিক কোর্স ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে বিএনএমসি'র সনদ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নার্স ও মিডওয়াইফ প্র্যাকটিশনার্স নামে রেজিট্রেশন পান। এক্ষেত্রে সরকারি চাকুরিতে এন্ট্রি পোস্ট 'সিনিয়র স্টাফ নার্স' (১০ম গ্রেড)। বিপিএসসি নন-ক্যাডার পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে 'বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর
এ নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়া পদোন্নতির মাধ্যমে নার্সিং ইনস্টিটিউটে প্রিন্সিপাল, নার্সিং অধিদপ্তরে সহকারি পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কি?
এটি বিএনএমসি'র অধীনে কেবল মিডয়াইফারি বিষয়ে
বিএসসি ইন নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি কোর্স ফি: ১৫০০০ টাকা (অফ লাইন) কোর্স ফি: ৫০০০ টাকা (অন লাইন) বিষয়ভিত্তিক লেকচার শীট: ১৫ টি লেকচার ভিত্তিক পরীক্ষা: ১০০ টি ফাইনাল সল্যুশন ক্লাসঃ ৩৫ টি ফাইনাল মডেল টেস্ট: ২০ টি বিষয়ভিত্তিক সাবজেক্ট ফাইনাল : ১০ টি ডাউট সলভিংয়ে সার্বক্ষণিক Q & A সেবা
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি কোর্স ফি: ১২০০০ টাকা (অফ লাইন) কোর্স ফি: ৪০০০ টাকা (অন লাইন) বিষয়ভিত্তিক লেকচার শীট: ১০ টি লেকচার ভিত্তিক পরীক্ষা: ৮৫ টি ফাইনাল সল্যুশন ক্লাস : ৩০টি ফাইনাল মডেল টেস্ট: ১৫ টি বিষয়ভিত্তিক সাবজেক্ট ফাইনাল : ১০টি ডাউট সলভিংয়ে সার্বক্ষণিক Q & A সেবা
কেন নার্সিং কোর্সে ভর্তি হবেন?
১। সরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামমাত্র খরচে পড়াশোনার সুযোগ?
২। মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে নার্সিং-এ পড়ার সুযোগ ৩। বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা ডিগ্রি লাভের জন্য বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ ৷
৪। নার্সিং-এ গ্রাজুয়েশনের পর এমএসসি, পিএইচডিসহ দেশি- বিদেশি ডিগ্রি লাভের সুযোগ।
৫। সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের ১০ম গ্রেডে (দ্বিতীয় শ্রেণি) চাকুরির সুযোগ।
৬। পদোন্নতির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ ৭। বিএসসি ইন নার্সিং করে বিসিএস দিয়ে বিসিএস পররাষ্ট্র, বিসিএস প্রশাসন, বিসিএস পুলিশ, বিসিএস কাস্টমস, বিসিএস কর-সহ জেনারেল ক্যাডার অফিসার হওয়ার সুযোগ ।
৮। জেনারেল শিক্ষার্থীদের ন্যায় সরকারি চাকুরিতে আবেদন ও চাকুরি লাভর সুযোগ
৯। দেশে নার্সিং-এর পাঠ্যসূচিতে আন্তর্জাতিক কারিকুলাম অনুসৃত হওয়ায় উন্নত রাষ্ট্রে রয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ । ১০। দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ
ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি কোর্স ফি: ১২০০০ টাকা (অফ লাইন) কোর্স ফি: ৪০০০ টাকা (অন লাইন) বিষয়ভিত্তিক লেকচার শীট: ১০ টি লেকচার ভিত্তিক পরীক্ষা: ৮৫ টি ফাইনাল সল্যুশন ক্লাস: ৩০ টি ফাইনাল মডেল টেস্ট: ১৫ টি বিষয়ভিত্তিক সাবজেক্ট ফাইনাল : ১০ টি ডাউট সলভিংয়ে সার্বক্ষণিক Q & A সেবা